Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা

 

১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতররের মাধ্যমে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের এককালীন মাসিক ১০০ টাকা হারে  ভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়। ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে এ কর্মসূচিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের জন্য বর্তমান সরকার পুনরায় ২০১০-১১ অর্থ বছরে এ কর্মসূচি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে প্রবর্তিত এ কর্মসূচি সমাজসেবা অধিদফতর সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার পর বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা বিতরণে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

 

এ কর্মসূচিতে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা হলো, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, ডাটাবেইজ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ। এ ছাড়া গত ২০২০-২০২১ অর্থবছর হতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে (G2P) শতভাগ ভাতা বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

 

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

 

১.বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান;

২. পরিবার ও সমাজে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি;

৩. আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তাঁদের মনোবল জোরদার করা;

৪. চিকিৎসা সহায়তা ও পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান

 

সংজ্ঞা:

 

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা প্রদান কর্মসূচি আওতায় -‘বিধবা’ বলতে তাদেরকেই বুঝানো হবে যাদের স্বামী মৃত; ‘স্বামী নিগৃহীতা’ বলতে তাঁদেরকেই বুঝানো হবে যাঁরা স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্তা বা অন্য যে কোন কারণে অন্ততঃ দু’বছর যাবৎ স্বামীর সংগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বা একত্রে বসবাস করেন না ।

 

প্রার্থী নির্বাচনের মানদন্ড:

 

(নাগরিকত্বপ্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

(বয়সবয়স অবস্যই ১৮ (আঠার) বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। তবে সর্বোচ্চ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা মহিলাকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

(স্বাস্থ্যগত অবস্থা: যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষমতাহীন তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(আর্থ-সামাজিক অবস্থা :

(১) আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে: নিঃস্ব, উদ্বাস্ত্ত ও ভূমিহীনকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(২) সামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে: নিঃসমত্মান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদেরকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

()  ভূমির মালিকানাভূমিহীন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বসতবাড়ী ব্যতিত কোন ব্যক্তির জমির পরিমাণ

০.৫ একর বা তার কম হলে তিনি ভূমিহীন বলে গণ্য হবেন।

 

ভাতা প্রাপকের যোগ্যতা ও শর্তাবলী:

১.     সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;

২.     জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচিতি নম্বর থাকতে হবে;

৩.    বয়ঃবৃদ্ধা অসহায় ও দুঃস্থ বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে;

৪.    যিনি দুঃস্থ, অসহায়, প্রায় ভূমিহীন, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা এবং যার ১৬ বছর বয়সের নীচে ২টি সন্তন রয়েছে, তিনি ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন;

৫.    দুঃস্থ, দরিদ্র, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ তারা ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন;

৬.     প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয়ঃ অনূর্ধ ১২,০০০ (বার হাজার) টাকা হতে হবে;

৭.     বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

 

মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট ভিত্তিক বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর তথ্যঃ

ক্রমিক নং

পৌরসভা/ইউনিয়নের নাম

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা 

মাসিক @৫০০/- টাকা হারে

ছেংগারচর পৌরসভা

৭৯৮ জন

বাগানবাড়ী

৪৭৪ জন

জহিরাবাদ

৩৬০ জন

ফরাজিকান্দি

৮০৮ জন

দূর্গাপুর

৬৭৬ জন

ইসলামাবাদ

৪৬৪ জন

ফতেপুর পূর্ব

৫১৭ জন

সুলতানাবাদ

৪৯০ জন

কলাকান্দা

৩১১ জন

১০

ষাটনল

৪৬৭ জন

১১

সাদুল্যাপুর

৫০৪ জন

১২

মোহনপুর

৪৭২ জন

১৩

এখলাছপুর

৩৯৮ জন

১৪

ফতেপুর পশ্চিম

৪০৫ জন

১৫

গজরা

৩১২ জন

 

সর্বমোট=

৭৪৫৬ জন